পাওয়ার টিলার Power Tiller
কৃষি শক্তির উৎস হিসেবে বেশি ব্যবহৃত যন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো পাওয়ার টিলার। পাওয়ার টিলার চালনা ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে একটি হলো পাওয়ার টিলার স্টার্ট দেওয়ার আগে বেশ কিছু করণীয় কাজ রয়েছে।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
পাওয়ার টিলার।
কাজের ধাপঃ
১। একটি পাওয়ার টিলারের কাছে যেতে হবে। পাওয়ার টিলারটি ঠেলে ওয়ার্কশপের সামনে অথবা ফাঁকা স্থানে নিয়ে আসতে হবে এবং স্ট্যান্ডের উপরে সমতলভাবে রাখতে হবে।
২। পাওয়ার টিলার স্টার্ট দেওয়ার পূর্ব পরীক্ষাগুলো সেরে নিতে হবে। যেমন-
জ্বালানি ট্যাংকে জ্বালানি আছে কি না- না থাকলে পরিষ্কার জ্বালানি ( এক্ষেত্রে ডিজেল ) ছাঁকনি দিয়ে ভালভাবে ছেঁকে ট্যাংকে ঢেলে নিতে হবে।
শীতলকারক পানির ট্যাংকে পানি আছে কি না- যদি না থাকে অথবা কম থাকে তবে পরিষ্কার মৃদু পানি দিয়ে পানির ট্যাংক পূর্ণ করতে হবে। শীতলিকারক পাখা ঠিকমতো ঘোরে কি না খেয়াল করতে হবে।
তেলের পাত্রে প্রয়োজনীয় পরিমাণ তেল আছে কি না- ডিপস্টিক বের করে এনে মুছে পুনরায় ছিদ্রির উপরে রেখে ডিপস্টিকের গায়ে তেলের টিহৃ দেখতে হবে, যদি উচ্চমাত্রা ও নিম্নমাত্রার মাঝামাঝি থাকে তাহলে পরিমাণ ঠিক আছে । মাঝামাঝি কম থাকলে কিছু নতুন তেল যোগ করতে হবে । তেলের আঠালতা এবং তেল ক্র্যাংককেসে ঢালতে হবে।
ভি-বেল্টের টান ঠিক আছে কি না যাচাই করতে হবে। ঠিক না থাকলে অলস পুলি সমন্বয় করে টান যথাযথ করতে হবে।
টায়ারে বাতাসের চাপ পরিমিত কি না পরীক্ষা করতে হবে।
৩। গিয়ার পরিবর্তন লিভারটি নিরপেক্ষ অবস্থানে রাখতে হবে।
৪। পিটিও এর গতি পরিবর্তন লিভারটি নিরপেক্ষ অবস্থানে রাখতে হবে।
৫। ক্লাচ যুক্ত বা মুক্তকরণ লিভারটি ব্রেক অবস্থানে রাখতে হবে।
৬। অ্যাক্সেলারেটর স্টার্ট অবস্থানে রাখতে হবে।
৭। চাকার নিচে ইট বা কাঠের খণ্ড দিয়ে জ্যাম দিতে হবে।
৮। জ্বালানি লাইনের কক খুলে দিতে হবে।
৯।ক্র্যাংকিং র্যাচেট এ স্টার্টিং হাতল লাগিয়ে দিতে হবে।
১০। ডান হাতে স্টাটিং হ্যান্ডেল ধরে বাম হাতে ডিকম্প্রেশন লিভার চেপে ধরতে হবে।
১১। ধীরে ধীরে স্টার্টিং হ্যান্ডেল ঘুরাতে হবে এবং জ্বালানি ইনজেক্টর থেকে জ্বালানি স্প্রে হওয়ার শব্দ শুনতে চেষ্টা করতে হবে। জ্বালানি স্প্রে হলেই ইঞ্জিন স্টার্ট দিতে হবে।
১২। ডিকম্প্রেশন লিভার চেপে রেখেই স্টার্টিং হ্যান্ডেল ঘুরানোর গতি বাড়াতে হবে।
১৩। ইঞ্জিন পর্যাপ্ত গতিতে অর্থাৎ ক্র্যাংকিং গতিতে ঘুরতে থাকলে হঠাৎ করে ডিকম্প্রেশন লিভার ছেড়ে দিতে হবে।
১৪। এখন বোঝাবিহীন অবস্থায় অলস গতিতে ইঞ্জিনটি কয়েক মিনিট চালু রাখতে হবে।
১৫। এরপর গিয়ার পরিবর্তন লিভার ১ অথবা ২ অবস্থানে স্থাপন করে ক্লাচ লিভার অন অথবা যুক্ত অবস্থানে নিয়ে আসতে হবে। এখন চাকা ঘুরে কি না এবং সামনে চলতে শুরু করে কি না পরীক্ষা করতে হবে।
১৬। পিটিওর গতি পরিবর্তন দণ্ড যুক্ত বা নিম্ন স্থানে রেখে লক্ষ করতে হবে রোটারি লাঙ্গল ঘোরে কি না।
১৭। অ্যাক্সেলারেটর একটু বাড়িয়ে বা কমিয়ে লক্ষ করতে হবে ইঞ্জিনের গতি বাড়ে বা কমে কি না।
১৮। এবার অ্যাক্সেলারেটর লিভারটি স্টপ অবস্থানে আনতে হবে। ইঞ্জিন বন্ধ অবস্থাতেই করতে হবে।
সতর্কতাঃ
১। ইঞ্জিন স্টার্ট হওয়ার পর স্টার্টার হ্যান্ডেল আপনা-আপনিই
বেরিয়ে আসবে। হাতল ছেড়ে দেওয়া যাবে না অথবা জোর করে
বের করে আনার চেষ্টা করাও মোটেই ঠিক নয়।
মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
২। চলন্ত ইঞ্জিনে জ্বালানি তেল বা পানি যোগ করা যাবে না। ইঞ্জিন বদ্ধ অবস্থাতেই করতে হবে।
No comments